Heading
Heading
Chandrapara Pak Darbar Sharif holy place of sufism
Chandrapara Pak Darbar Sharif holy place of sufism
উপদেশাবলী
অলি আল্লাহ্গণ শেষ নিঃশ্বাস আল্লাহ্র নামের সঙ্গে বাহির হইবার জন্য জোড়হাত
করিয়া জীবন ভর আল্লাহ্র হুজুরে কাঁদিতেন, তোমরা ঈমানের সঙ্গে মরিবার
জন্য মরিবার জন্য কয়দিন কাঁদিয়াছ?
জামানার মোজাদ্দেদ হযরত শাহ্ চন্দ্রপুরী নঃ মোজাঃ (রহঃ)
শাহ চন্দ্রপুরী (রহঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী...
জামানার মোজাদ্দেদ শাহচন্দ্রপুরী (রহঃ)
আসল নামঃ- তাপসকূল শিরোমনি সুলতানুল আওলিয়া জামানার মোজাদ্দেদ হজরত মাওলানা শাহ্সূফী সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহঃ) চন্দ্রপুরী নক্শবন্দী মোজাদ্দেদী।
জন্মঃ- বাংলা ১৩১৬ সনের ফাল্গুন মাসের কোন একশুক্রবার সুবেহ সাদিক এর সময় ফরিদপুর জেলারসদরপুর থানার দশহাজার গ্রামে স্বীয় নানার বাড়ীতে এইনশ্বর ধরাতে আগমন করেন।
পিতার নাম ঃ- সৈয়দ কোরবান আলী খান (রহঃ) যিনিহযরত রাসুল পাক (দঃ) এর ২০তম পুরুষ ছিলেন এবংস্যায়েদেনা হয্ররত ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর বংসধরছিলেন।
মাতার নাম ঃ- খাদিজা বেগম।
সংক্ষিপ্ত জীবনী ঃ-
ফেকাহ শাস্ত্রের জ্ঞান আরোহনের পর তিনি ধর্মের স্বাদগ্রহনের জন্য তাসাউফ শিক্ষা তথা কামেল পীরের সন্ধানেউদগ্রীব হয়ে উঠেন। তিনি বহু জায়গাতে ঘুরেন কিন্তু মনেরমত পীর পান না ।অবশেষে বাবাজানের সমসাময়িকআরো ২জন লোক কে নিয়ে বাবাজান সিলেটে একজনকামেল ওলীর কাছে যান মুরীদ হবার জন্য ।সেখানেগেলে ওই পীর সাহেব বাকী ২ জন কে তরিকা দিলেন কিন্তুবাবাজান কে বললেন আপনার নাম আমার দরবারে নাইআপনার যিনি মোরশেদ হবেন তিনি যমুনার তীরেঅবস্থান করছেন। আতঃপর বাবাজান মন খারাপ করেফিরে আসেন। এই কারনে যে একজন কামেল পীরপেলাম তাও উনি আমাকে মুরীদ করলেন না।
পরবরতিতে বাবাজান এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফেরসন্ধান পান। সেখানে গিয়ে দেখেন খাজা বাবাএনায়েতপুরী ( রহঃ) ঐতিহাসিক বরই তলাতে বেতেরএকখানা কুরসী (চেয়ার) মোবারকে বসে তার মুরীদসন্তান দের সাথে আলাপ করছেন। বাবাজান সেখানেগেলে খাজাবাবা তার একজন মুরীদ কে বললেন যেএকটা টুল নিয়ে এসে উনাকে (বাবাজান) বসতে দেয়ারজন্য। টুল এনে বাবাজান কে বসতে দেয়া হলে বাবাজানইতস্বতত বোধ করেন কারন খাজাবাবা ছাড়া বাকি সবাইমাটিতে বসা ছিলেন। পরে খাজা হুজুর হুকুম করলেবাবাজান টুলে বসেন। তখন খাজা বাবা বলেন “মাওলানাসাহেব আপনি ভাল আলেম, লতিফা দেখায়া তরীকাপ্রচার করেন”
বাবাজান মনে মনে বলেন পীর কেমন তাই জানলাম নাএখনি তরীকা নিব। ঠিক তখন ই খাজাবাবা বলেন“মাওলানা সাহেব পীর পরীক্ষা করবেন কষ্টি পাথরএনেছেন তো”
বাবাজান কিনচিত লজ্জিত হন। খাজাবাবা বাবাজান কেকিছু আমল দেন। বাবাজান বাড়ি চলে আসেন ।কিছুদিনআমল করার পর চিন্তা করেন অনেক পীর আছে যারা বসেআনার জন্য ওজিফা দিয়ে থাকে। বাবাজান আমল বন্ধকরে দেন। পরে তিনি নিজের মত করে আমল করা শুরুকরেন অরথাত শেষ রাতে রহমতের সময় উঠে আল্লাহরদরবারে কামেল পীর চেনার উপাই জানতে চেয়ে কান্নাকাটি করেন।আল্লাহ পাক রাজী হন এবং দয়া করেবাবাজান কে ওই শক্তি দান করেন যা দিয়ে কামেল ওলীচেনা যায়।
বাবাজান ওই শক্তি দিয়ে খুজে পান ততকালীন সময়েখাজাবাবা এনায়েতপুরী (রহঃ) হচ্ছেন সবথেকে সেরাওলী।বাবাজান খাজাবাবার কাছে তরীকা গ্রহন করেন।খাজাবাবার ৫২ জন খলিফার মধ্যে বাবাজান ই একমাত্রযাকে তরীকাদেয়ার পরেই খেলাফত দেয়া হই।খাজাবাবা বাবাজান কে তরীকা প্রচারের অনুমতি দেন।কিন্তু বাবাজানের কাছে কেও তরীকা নিতে এলে বাবাজানতরীকা না দিয়ে তাদেরকে খাজাবাবার অন্য দুই খলিফাযাদের বাড়িও সদরপুর ফরিদপুর এলাকাতে তাদের কাছেপাঠিয়ে দিতেন।খাজাবাবা বাবাজান কে অনেক বারবলার পরেও তরীকা না দিলে খাজাবাবা বাবাজান কেধমক দিয়ে বলেন মিয়া আপনি পীরের হুকুম মানেন না?তখন বাবাজান বাড়ি এসে পীরের হুকুম মানার খাতিরেএকজন কে তরীকা দেন বাকিদের অন্য দুই দরবারেপাঠিয়ে দেন।কিন্তু যাকে তরিকা দেন লতিফায়ে কালবদেখানর সাথে সাথে তার জজবা হয়ে যায় ওই লোকটাগলা কাটা মুরগীর ন্যায় লাফাতে থাকে।তার সারা শরীরেসুলতানুল আসগর যিকির জারি হয়ে যায়। এভাবে আরকিছুদিন যাওয়ার পরে খাজাবাবা বাবাজান কে ডেকে বলেমাওলানা সাহেব পাগলামী কইরেন না ঠিকমত তরীকাপ্রচার করেন।এর পর থেকে বাবাজান রাসুলুল্লাহ (দঃ)এর সত্য তরীকায়ে নকশবন্দিয়া মোজাদ্দেদীয়া প্রচার শুরুকরেন।
এরপর তিনি ঠাকুরের চর নাম পরিবরতন করে গ্রামেরনাম করেন চন্দ্রপাড়া এখন যা সরকারী হিসাবে চন্দ্রপাড়াশরীফ নামে পরিচিত
খাজাবাবার ওফাতের আগে খাজা বাবা তার খলিফা দেরডাকেন এবং তাদের সাথে বিদায়ী বানীমোবারকরাখছিলেন একসময় খাজাবাবা বলেন “ফরিদপুরেরমাওলানা সাহেবরে দেখছিনা উনি কোথায় একজন বলেনবাবা উনিত মসজিদে বসে আঝর নয়নে কাদছেন।খাজাবাবা তখন মসজিদে যান এবং বাবাজান কে বুকেজড়িয়ে ধরেন। আর ওই সময় সিরাজুম মুনির খাজাবাবারছিনা হইতে বাবাজানের ছিনায় স্থানান্তর হয় যেমনহয়েছিল কারবালার ময়দানে ইমাম হোসাঈন (রাঃ) এরছিনা হইতে ইমামা জয়নাল আবেদিন (রাঃ) এর ছিনায়।
একবার গভীর ভাবে কল্পনা করা যায়। সেই সিরাজুম মনিরা এর ধরক বাহক আমার সৈয়দ জী🥰🥰 আমি সিরাজুম মনিরা দেখি নি দেখেছি সৈয়দ জীর দুই কদম মোবার, কখনো চুমু খাওয়ার সৈভাগ্য হয়নি আমার সেখানে। কিন্তু দীর্ঘদিনের ইচ্ছা দুই কদমে চগমু খাবো ধুলি মাখবো আমার গায়ে।
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনচন্দ্রপাড়া পাক দরবার শরীফ বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি সুপরিচিত সুফি দরবার। এটি সুফি সাধক শাহ সুলতান আহমদ চন্দ্রপুরী (রহ.) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
উত্তরমুছুনপ্রতিষ্ঠাতা ও ইতিহাস
শাহ সুলতান আহমদ চন্দ্রপুরী (রহ.) ছিলেন একজন বিশিষ্ট সুফি সাধক এবং নকশবন্দি মোজাদ্দেদি তরিকার অনুসারী। তাঁর জন্ম ফরিদপুর জেলার দশহাজার গ্রামে। তিনি প্রথমে বিভিন্ন পীরের সাথে যোগাযোগ করেন কিন্তু মনঃপূত না হলে পরে এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফে গিয়ে খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রহ.) এর কাছে মুরিদ হন【16†source】।
বার্ষিক ওরস ও অন্যান্য কার্যক্রম
চন্দ্রপাড়া পাক দরবার শরীফে প্রতিবছর বার্ষিক ওরস পালন করা হয়, যা বিশেষ আকর্ষণীয়। এই ওরস অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো ভক্ত অংশগ্রহণ করেন। এই সময়ে কুরআন তেলাওয়াত, ধর্মীয় আলোচনা, এ (Chandrapara Pak Darbar)অনুষ্ঠিত হয়【15†source】।
ধর্মীয় গুরুত্ব
চন্দ্রপাড়া পাক দরবার শরীফ একটি পবিত্র স্থান হিসেবে সুপরিচিত যেখানে ভক্তরা তাঁদের আধ্যাত্মিক শান্তি ও মনোবল বৃদ্ধির জন্য আসেন। এটি একটি সুফি কেন্দ্র যা সুফি শিক্ষার প্রচার ও প্রসার করে। এখানে সুফি সাধকগণ ও তাঁদের অনুসারীরা নিয়মিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মিলাদ ও গজল পাঠ করেন【16†source】।
চন্দ্রপাড়া পাক দরবার শরীফ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মুসলিম সম্প্র (Bangladesh Post)গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা এবং তাঁর অনুসারীদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক শিক্ষাগুলি আজও বহুল প্রচলিত। (Chandrapara Pak Darbar)